ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২ অক্টোবর) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান।
অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুফতি ইব্রাহিমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমান তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর ডিবি উত্তরের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুন্সি আব্দুল লোকমান বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জেড এম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মুফতি কাজী ইব্রাহিম নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। তার বক্তব্যের অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির একটি দল।