
বেত্রাবতী ডেস্ক।।এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড নামক এ্যাপস নামক খুলে বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চক্রের সন্ধ্যান পেয়েছে র্যাব ও পুলিশ।
ওই চক্রের এজেন্ট রাসেল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
সে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী যুবক যশোর সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ইমামুল ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় রাসেল হোসেনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে।
মামলায় পলাতক সহযোগী আসামীরা হচ্ছে, চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার আছলছিলা (আঁচলচিলা) গ্রামের আব্দুল মজিদ, মিসেস রহিমা বেগমের ছেলে উক্ত এসপিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও আল আমীন প্রধান, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার, ডাইরেক্টর এসপিসি, নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার (সুধারাম) থানার পূর্ব শুল্যাকিয়া (মোল্লাবাড়ী পূর্ব শোলকিয়া উত্তর ওয়াপদা) এনামুল হক ও ওজিফা খাতুনের ছেলে এসপিসি ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ ইসহাক, লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার চর বংশী,ইউপি-২নং চর বংশী মোজাম্মেল আদনান এসপিসি ডাইরেক্টর, মার্কেটিং ডিরেক্টর এসপিসি অর্জুন চ্যাটার্জী, এসপিসি ম্যানেজার এডমিন হেলাল মিয়া,এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওমর ফারুক, এক্সিকিউটিভ অফিসার হানিফ,এক্সিকিউটিভ অফিসার জসীম,একাউন্টস ম্যানেজার মানিক মিয়া, প্রডাক্ট ম্যানেজার তানভীর আহাম্মেদ,সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার পাভেল সরকার ও অফিস সহকারী নাদিম মোহাম্মদ ইয়াছির উল্লাহ।
বাদী ইমামুল ইসলাম যশোর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের একজন ছাত্র।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪ টা বেজে ২৫ মিনিটে ফেসবুক ব্রাউজ করাকালীন একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ নাম এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিংক দেখতে পাই।
পরে বাদী এ ব্যাপারে এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন একজন যার নাম রাসেল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করে। রাসেল বাদিকে বলে এসপিসি ওর্য়াল্ড এর একজন এজেন্ট সে।
রাসেল বাদীকে এসপিসি ওর্য়াল্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলে। সে বাদিকে গুগল প্লে ষ্টোর থেকে একটি এ্যাপসে যান নাম এসপিসি ওর্য়াল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড, লিংক ইন্সটল করে বিনিয়োগ করার জন্য বলে।
রাসেল হোসেন বাদিকে এসপিসি ওর্য়াল্ড এ বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করে। সে বাদিকে বলে এসপিসিতে ১২শ’ টাকা দিয়ে একটি আইডি ক্রয় করে প্রতিদিন একটি বিজ্ঞাপন দেখলে ১০ টাকা করে মাসে ৩শ’ টাকা আয় করা যায় বলে।
বাদি রাসেল হোসেনকে মোট ৩৬ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা দেয়। রাসেল বাদিকে মোট ৫১টি আইডি করে দেয়।
রাসেলকে বিশ্বাস করে ৫১টি আইডি ক্রয় করে বাদী তার বন্ধু মশিয়ার রহমান, রানা আহম্মেদ, রানা হোসেন, সাগর হোসেন, রাজা হোসেন, শিহাব হোসেন,রাসেল হোসেনসহ আরো অনেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল হোসেনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করে।
এভাবে এ্যাপস থেকে ৬ মাস যাবত বিজ্ঞাপন দেখে ওই এ্যাপস ওয়ালেটে বাদীর ৫৪ হাজার টাকা জমা হয়। এ্যাপস থেকে ক্যাশ আউট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাদী রাসেল হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে মোবাইল বন্ধ করে।
পরবর্তীতে বাদি মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার পর রাসেল হোসেনকে যশোর জেলার সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের বাগেরহাট বাজারস্থ আশিকুল ইসলামের টি স্টল এর সামনে রাস্তার উপর আসলে বাদিসহ তার বন্ধুরা আটক করে।
পরে র্যাব-৬ টহলদল চলে আসলে তাদেরকে বিস্তারিত বললে রাসেল হোসেনকে র্যাবের সহযোগীতায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে।
পরে জানতে পারেন বাদীসহ সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে বিনিয়োগের নামে টাকা সংগ্রহ করে প্রতারণা মূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাত করছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।