মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি। সারাদেশে একদিনেই দেয়া হবে ৭৫ লাখ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই কর্মসূচিতে নিজেদের সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসাবে দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
শুধুমাত্র নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় থাকারাই টিকা পাবেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কেন্দ্র প্রতি এক হাজার ও পৌরসভায় কেন্দ্র প্রতি ৫০০ টিকা দেয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে।
এখন পর্যন্ত দেশে উপহার আর কেনা মিলে টিকা এসেছে সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে খরচ হয়েছে চার কোটি টিকা। মজুদ থাকা প্রায় দেড় কোটি ডোজ এবার বিতরণ হবে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া গণটিকায়।
আজ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে একদিনেই ৭৫ লাখ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
নিবন্ধনের পর অপেক্ষায় থাকা প্রায় দুই কোটি মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন এই কর্মসূচিতে। এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে মঙ্গলবার কারা টিকা পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের সব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার যে গণটিকা কর্মসূচি সারাদেশে পরিচালিত হবে সেখানে শুধু প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে। একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হবে।
স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই টিকার আওতায় আসবেন না জানিয়ে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, এই কর্মসূচিতে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের যে কোনো একটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্র থাকবে।
পৌরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে টিকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বুথ কমানো–বাড়ানো যাবে।
সেই হিসাবে চলমান টিকা কেন্দ্রগুলোর বাইরে আরও চার হাজার ছয়শ ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর ৪৪৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে কেন্দ্রে তিনটি টিকা বুথ থাকবে। আর এক হাজার ৫৪টি পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে বুথ থাকবে।
দেশের সবচেয়ে বড় এই টিকাদান কর্মসূচিতে একযোগে কাজ করবে ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৮ হাজারেরও বেশী স্বেচ্ছাসেবক।
খুরশীদ আলম বলেন, চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সঙ্গে বয়স্ক, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিবেচনায় রাখা হবে। টিকা নেয়ার সময় এনআইডি ও টিকা কার্ড থাকতে হবে।
বয়স্ক যারা আসবেন টিকা নিতে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রত্যেককে টিকা নেয়ার পর অবশ্যই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।