
বিভিন্ন ফলের চেয়ে চালতার রঙ ও গুণ বেশি আকর্ষণীয়। এই ফলের চাহিদাও বেশ। চালতায় যে স্বাস্থ্যগুণ, আজ তা নিয়ে আমরা কথা বলব।
চালতা গাছ মাঝারি আকারের, চিরহরিৎ জাতীয় গাছ। এ গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র চালতা গাছ জন্মে।
চালতা গাছ ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশেও প্রচুর জন্মে। চালতা একটি অবহেলিত ফল হলেও এর রয়েছে নানা খাদ্যগুণ।
যেমন-
১. চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ভালো উৎস।
২. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
৩. চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ৪. চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ৫. চালতায় উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। রক্তের সংবহন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৬. চালতা পেটের নানা অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নেই।
৭. চালতা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৮. ঠাণ্ডা ও কাশির জন্য পাকা চালতার রসে চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯. কিডনির নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে চালতা।
১০. শুধু ফল নয়, চালতার মূল ও পাতারও রয়েছে ঔষধিগুণ। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে সেখানে চালতা গাছের মূল ও পাতা পিষে দিলে ব্যথা কমে যায়।
তথ্য – ইন্টারনেট