আতাউর রহমান।।পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার কোনো বয়স বা সময় লাগে না। তা প্রমাণ করলো কলারোয়ার নাসিম হায়দার শিমুল।
অল্প বয়সে কলারোয়ার সকলের পরিচিত মুখ, হাসিমুখের শিমুল চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে, না ফেরার দেশে।
তরুন প্রজন্মের আইকন কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল এ্যালমনাই এ্যসোসিয়নের অন্যতম কর্মকর্তা ও কৃতি সন্তান নাসিম হায়দার শিমুল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে মূত্যুবরণ করেছেন (ইন্না……………..রাজিউন)।
ছুটির দিনে প্রতিদিনের মত মর্নিংওয়াক সেরে মিরপুর সিটি ক্লাব মাঠে ফুটবল খেলার সময় পড়ে যান তিনি। আর তখনই তাকে সহযোগী খেলোয়াড়েরা দ্রুত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝরে গেলো কলারোয়ার এক নক্ষত্র, এক মানবপ্রেমী সন্তান। সকলের কাছে সে একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন।
নাসিম হায়দার শিমুল কলারোয়ার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ছিল। তার পিতা মরহুম আব্দুর রব, যিনি রব মুহুরী নামে পরিচিত ছিলেন। রব মুহুরীর দুই ছেলের মধ্যে শিমুল ছিলো ছোট।
মৃত্যুকালে নাসিম হায়দার শিমুলের বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। সে দুই সন্তান নাঈম ও নাজিফ, স্ত্রী, মা, বড় ভাই সহ হাজার হাজার গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
শিমুল প্রকৌশলী হিসাবে নভোথিয়েটারে কর্মজীবন শুরু করে বাংলালিংক হয়ে বর্তমানে ঢাকায় এ্যারিকসন (এএসপি) ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল এ্যালাইমনাই এ্যাসোসিশনের সকল সামাজিক কর্মকান্ড, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাদ এশা কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান উপজেলার নারায়নপুরে আরও একটি জানাজার পরে দাফন সম্পন্ন হয়েছ।