বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে যাত্রীবাহী নৌকাটি গুলশান লেকে ডুবে যায়। ওই নৌকার যাত্রী ছিলেন সেলিনা আক্তার।
নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ সেলিনাকে উদ্ধারের চেষ্টায় লেক পানিতে তল্লাশি চালায়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত সেলিনার সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখে ফায়ার সার্ভিস।
পরে রাত ১০টার দিকে লেকের পানিতে ওই তরুণীর লাশ ভেসে ওঠে। সেলিনা বনানীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী ছিলেন। সকালে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কড়াইল বস্তির পূর্ব পাশের ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি গুলশান-১ ও ২–এর মাঝামাঝি ৩৩ নম্বর রোডের ঘাটে যাচ্ছিল। লেকের মাঝামাঝি নৌকাটি ডুবে যায়।
তারা জানান, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় মাঝিসহ বাকিরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও সেলিনা উঠতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণীকে উদ্ধারের চেষ্টায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু ওই তরুণীর সন্ধান পায়নি তারা।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ সেলিনা কড়াইল বস্তিতে থাকতেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘাটে ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে লেক পারাপারে বাধা দেওয়া হতো। কিন্তু (বৃহস্পতিবার) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌকাটি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে।