বেত্রাবতী ডেস্ক।। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা এগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদের লক্ষ্যে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সাগর, নদ–নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
বুধবার মৎস্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গত বছর ১৩ নভেম্বর থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল।
এবারের মৌসুমের শুরু থেকে নদনদীতে ইলিশ সংকট চলছে। সামনের দুটি পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে সংকট দিয়েই মৌসুম শেষ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত,বাজারজাত করণ ও ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বুধবারের বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না।
এ সময়ের মধ্যে প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ ধরা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোনো নৌকাকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না।
নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে, যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে।
এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জেলেপ্রতি ২০ কেজি করে সরকারি সহায়তার চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল।
২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।
তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এই সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু হয়।
গত অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। এর ৬৬ ভাগ এসেছে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো থেকে। এই পরিমাণ তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।