
কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার ৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় ৭/৮ বছর যাবৎ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থান করায় বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শূভগাছা ইউনিয়নের ঝুমকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে ভাঙ্গনের কবল পড়লে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান বিদ্যালয় টির অবস্থান সিরাজগঞ্জ সদর রতনকান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে। মোট ৬ জন শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
প্রধান শিক্ষক মোকবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয় ভবনে যাতায়াত সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থী ধরে রাখাকঠিন হয়ে পড়ছে।
একই ইউনিয়নের চাঁদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ২০১৩ সালে এই বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান অবস্থান রতনকান্দি ইউনিয়নরে বাহুকা গ্রামে।
প্রধান শিক্ষক আলম খান জানান, কাজিপুরের বাইরে স্কুলের অবস্থান হওয়ায় সরকারি সকল সূযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এর অল্প দুরেই ৩৮ নং আফানিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের অবস্থান। বিদ্যালয়টির অবস্থান সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নে।এই বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে ভেঙ্গে বর্তমান স্থানে অবস্থান করছে। বিদ্যালয়ে মোট ৭ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।ছাত্র-ছাত্রীতে ভরপুর হলেও বিদ্যালয়টির অবকাঠামো গত উন্নয়ন নেই।
প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা খাতুন জানান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দুরে থাক শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা পর্যন্ত দিতে পারি না।
শূভগাছা ইউনিয়নের চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । ৪ জন শিক্ষক কর্মরত এই বিদ্যালয়ে। গত প্রায় ৫ বার ভেঙ্গে বর্তমান অবস্থান পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার বাহুকাতে। স্কুলটিতে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন রত আছে।অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই বললেই চলে।
প্রধান শিক্ষক জানান, চলতি বছরের গোড়ার দিকে ৩লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হলেও নিন্মমানের কাজ হওয়ায় ঘরটি ইতিমধ্যেই পাঠপ্রদানের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
স্কুল সমূহের বিষয়ে কাজিপুর শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির অবস্থান অন্য উপজেলায় হওয়ার কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা যাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান,নদীর ভাঙ্গনে বিদ্যালয় গুলির অবস্থান পাশাপাশি হওয়ায় শিক্ষার্থী কমে গেছে। তবে একেবারে কম হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সমন্বয় করা হবে।