
যশোরে দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। রবিবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়েছে। ৩০ জন আমানতকারীর কাছ থেকে এই টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া কদমতলা এলাকার রবিউল হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ইমন (৪৪)। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি আবু তাহের নদভী (৫৭), প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক কাজী রবিউল ইসলাম (৬০), জিএম জুনায়েদ আলী (৫০), পরিচালক আজিজুর রহমান (৬০), মঈন উদ্দিন (৪৮), মুফতি গোলাম রহমান (৬৫), আব্দুল মতিন (৬০), পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, কলিমুল্লাহ কলি (৪৫), মিজানুর রহমান (৫০), মুফতি ইউনুস আহমেদ (৫২), মনিরুল ইসলাম (৫২), আইয়ুব আলী (৫২), শাসুজ্জামান টিটো (৪০), যশোর শাখার ম্যানেজার আতাউল্লাহ (৪২), আব্দুল হালিম (৬০), সংস্থার মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম সোনা মিয়া (৫৩), সংস্থার এফও কমিটির সভাপতি শামছুর রহমান (৫৫), সেক্রেটারি বাবর আলী (৫০), প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সেলিমউল আজম চৌধুরী (৫২), অর্থ সম্পাদক মোকসেদ আলী (৫০), সাবেক সেক্রেটারি মুফতী ফুরকান আহমেদ (৫০), লোকমান হোসেন (৪৮), মোহাম্মদ আলী, আক্তারুজ্জামান, এহসান গ্রুপের পরিচালক এসএম মিরাজুর রহমান ও হাফিজুর রহমান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা আলেম পরিচয় দিয়ে ধর্মীও অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে, কুরআন হাদিসের বয়ান দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশি পাচার করেছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত আসামিরা এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট লিমিটেড এবং এহসান ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তারা যশোরের অন্তত ৩০ জনের কাছ থেকে দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জমা নেন। পরে আমানতকারীকে সামান্য কিছু মুনাফা দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকর্তারা নিজেদের আত্মগোপন করে রাখেন। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীরা আর কোন টাকা পাননি।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এহসান গ্রুপের টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি দেশের অনেক মানুষ জানে। এই গ্রুপের শীর্ষ এক কর্মকর্তা ঢাকায় আটক হয়েছেন। যশোরের অনেক মানুষ এই গ্রুপের আমানত রেখে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। একজন ভুক্তভোগী মামলা করেছেন।