বারমুডা ট্রায়াঙ্গল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে ত্রিভুজাকৃতির একটি বিশেষ অঞ্চল। এর এক কোণে বারমুডা দ্বীপ আর অন্য দুই প্রান্তে মায়ামি বিচ ও পুয়ের্তে রিকোর সান জুয়ান। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর পাঁচটি টিভিএম অ্যাভেঞ্জার উড়োজাহাজ এবং একটি উদ্ধারকারী উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়।
সেই থেকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য কথাটার চল। এরপরও বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ সেখানে নিখোঁজ হয়েছে। রহস্যময় সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কথা সবারই জানা।
এবার ভারতে সন্ধান মিলেছে তেমনি রহস্যে ঘেরা এক অঞ্চলের। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে রয়েছে এমনই এক রহস্যজনক হ্রদ যেখানে নামলে নাকি কেউ আর ফিরে আসে না! স্থানীয়েরা বলেন, ইতিহাসে এমনও উদাহরণ আছে, যেখানে দেখা গিয়েছে একের পর এক বিমান ওই হ্রদের গভীরে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। কেউ খোঁজ পায়নি সে বিমান বা তার যাত্রীদের।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দাবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় ভাষায় এই লেকের নাম ‘নউং ইয়াং’ বা ‘না ফেরার হ্রদ’। ভারত মায়ানমার সীমান্তে পাংসাউ এলাকায় এর অবস্থান। এলাকাটি অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে। এই হ্রদের দৈর্ঘ্য ১দশমিক ৮ কিলোমিটার, প্রস্থে প্রায় ৪০০ মিটার। এই হ্রদ নিয়েই রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
কথিত আছে, এতে যে নামে, সে আর ফেরে না। উদাহরণ হিসাবে অনেকে উলেখ করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের কথা। বলা হয়, সেই সময়ে এই হ্রদের উপর অনেক বিমান অবরতণ করেছিল। তার পর সেই বিমানগুলিকে আর পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি যাত্রীদেরও।
রহস্যময় এই হ্রদকে ঘিরে স্থানীয় লোককথাও তৈরি হয়েছে। আদি কালে এই হ্রদ থেকে একটি মাছ তুলে সেটি রান্না করেছিলেন পাশের গ্রামের বাসিন্দারা। শুধু এক বৃদ্ধ ও তাঁর মেয়েকে বাদ দিয়ে গ্রামের সকলেই সেই মাছ রান্না করে খেয়েছিলেন। তার পর এক দিন গ্রামটিকেই ভাসিয়ে দিয়েছিল হ্রদ। বেঁচে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ আর তাঁর সন্তান। বাকি সকলের প্রাণ গিয়েছিল।
এক গবেষক আবার দাবি করেছেন, ইসরাইলের প্রাচীন গাথায় এই হ্রদের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানেও এটিকে ভয়ানক বলেই উলেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ মেরুর আশ্চর্যজনক হ্রদ, যা হঠাৎ এক দিন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে ইসরাইলের লোক-গাথায়।