পার্ক ডে প্রিন্সে এদিন অভিষেক হয় লিওনেল মেসির। তবে অভিষেকের দিনেও হতাশ করেছেন মেসি।

মেসি-নেইমার-এমবাপেদের সঙ্গে এদিন আক্রমণ ভাগে পিএসজির হয়ে আরো ছিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। দুর্দান্ত আক্রমণভাগ নিয়ে প্রথমার্ধে অলিম্পিক লিঁওর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি পিএসজি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার গোলে লিড নেয় লিঁও।

এরপর ৬৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজিকে সমতায় ফেরান নেইমার। আর ৯৪তম মিনিটে এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে পিএসজিকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন মাউরো ইকার্দি।

পিএসজির মাঠে প্রথম ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই উপলক্ষটা রাঙিয়ে রাখতে মরিয়া ছিলেন লিওনেল মেসি। সুযোগ তৈরি করলেন, গোলের আশা জাগালেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু নতুন দলের হয়ে তার গোল অধরাই থেকে গেলো।

দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি। তবে আশার কথা, কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের সঙ্গে তার বোঝাপড়া ক্রমেই বাড়ছে। সেটা কিছুটা অনুভব করেছে লিঁও। তিন তারকায় গড়া পিএসজির আক্রমণভাগ শুরু থেকে চেপে ধরে সফরকারীদের।

মেসি গোলের দেখা পেতে পারতেন ছয় মিনিটের মাথায় কিন্তু তার শট রুখে দেন জেসন ডেনায়ের। ৩২তম মিনিটে নেইমারের ব্যাক হিলে আরো একটি সুযোগ পান মেসি, দূরের পোস্টে নেয়া তার শট এবারেও ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপদমুক্ত করেন লোপেজ।

৩৭তম মিনিটে এসে এবার গোলের আরো কাছে পৌঁছে যান মেসি। ৩০ গজ দূর থেকে মেসির নেওয়া ফ্রিকিক ক্রসবার ও পোস্টের মিলনস্থলে লেগে বল চলে যায় বাইরে। এতেই প্রথমার্ধে আর গোল পাওয়া হয়নি প্যারিসিয়ানদের।

বিরতি থেকে ফিরে আরোবেশি আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। তবে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল করে এগিয়ে যায় লিঁও। প্রতি-আক্রমণে টোকো একাম্বির কাছ থেকে বল পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান লুকাস পাকুয়েতা। কাছেই ছিলেন জিয়ানুলুইগি ডনারুম্মা কিন্তু ঠেকাতে পারেননি তিনি।

পিঁছিয়ে পড়ার পরে আক্রমণের ধার আরো বাড়ায় পিএসজি। ফল আসে ৬৬তম মিনিটে। দারুণ এক আক্রমণে একাই বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ফাউলের শিকার হন নেইমার। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সেই নেইমারই।

ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে মেসিকে তুলে নেন পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। তারপর ৮২তম মিনিটে ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে ইকার্দিকে নামান কোচ। আস্থার দারুণ প্রতিদান দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ৯৪তম মিনিটে এমবাপের দারুণ ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি।

এই নিয়ে লিগ ওয়ানে টানা ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান পোক্ত করেছে পিএসজি। এরই মধ্যে তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে লিঁও। আসরে দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া দলটির পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৮।