সঠিক সেবা না দিয়ে যাত্রী হয়রানির ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেঁজুতি ট্রাভেলসের মালিককে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ দিয়েছে আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।
নোটিশে সেঁজুতি ট্রাভেলসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) দীনেশ চন্দ্র দাস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় সেঁজুতি ট্রাভেলসের মালিকসহ সংশ্রিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সংগঠনটির সভাপতি মাশহুদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু এ নোটিশ পাঠান।
ওই ফোরামের পিকনিকে ভাড়া নেওয়া সেঁজুতি ট্রাভেলসের এসি গাড়িতে বৃষ্টির পানি পড়ে সদস্যরা ভিজে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির বার্ষিক পিকনিকের জন্য সেঁজুতি ট্রাভেলসের তিনটি এসি বাস ভাড়া করা হয়। রিজার্ভ করা সত্ত্বেও যাত্রার শুরুর দিন এবং ফেরার দিন সঠিক সময়ে বাস সরবরাহ করা হয়নি।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ভালো বাস সরবরাহ না করে ফিটনেসহীন বাস সরবরাহ করায় বৃষ্টিতে বাসের ভেতরে পানি ঢুকে যায় বা দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমনকি বক্সের ভেতরে থাকা জিনিসপত্র ভিজে যায়।
এতে সংগঠনটির সদস্যরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েন। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে সদস্য এবং শিশুসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা জ্বরাক্রান্ত হন।
এমনকি ফেরার দিন তৃতীয় বাসটি হোটেলের সামনে পৌঁছাতে প্রায় দুইঘণ্টা দেরি করে। এর ফলে রাঙ্গামাটির অসহ্য গরমের মধ্যে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পুনরায় হোটেল রুম ভাড়া করে সেখানে অবস্থান করায় সংগঠনের আর্থিক ও সদস্যরা শারীরিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হন।
রাঙ্গামাটি থেকে ফেরার সময় বাসভাড়া চুক্তির অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধের জন্য মাঝ রাস্তায় বাস থামানো হয়। এবং ভাড়ার টাকা না দিলে বাসে তেল ভর্তি করা সম্ভব হবে না বিধায় টাকা আদায়ে বাধ্য করে।
ফলে চুক্তি অনুসারে ভালো বাস সরবরাহ না করায় চুক্তিভঙ্গ এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এতে করে সংগঠনটির সদস্য এবং তাদের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতি এবং দুর্দশার শিকার হয়েছেন। তাই এ নোটিশ পাঠানো হয়।